মূল ক্যাম্পাস দক্ষিণ বনশ্রী ক্যাম্পাস মোহাম্মদপুর ক্যাম্পাস তাহফিযুল কুরআন ক্যাম্পাস
প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষাধারাগুলোর মধ্যে মাদরাসা শিক্ষাধারা অত্যন্ত প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ। এ ধারাকে বর্তমানে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিন্যাস করা হয়েছে। এটি এমন এক সমন্বিত শিক্ষাধারা, যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর ব্যক্তিসত্তা বিকাশের পথ হয় উন্মুক্ত, চরিত্র হয় সুন্দর, ঈমান হয় সুদৃঢ়, সমাজের প্রতি আপন দায়-দায়িত্ব পালনের অনুভূতি হয় তীব্র। স্বীয় দায়িত্ব পালনের বিষয়ে পরকালে জবাবদিহিতার ভয় থাকে অন্তরে সদা জাগ্ৰত।

 

গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার উদ্দেশ্যে সাহস আর দীপ্ত পদভারে সমাজের একদল মেধাবী, কর্মঠ ও নৈতিকতাসম্পন্ন যুবকের নিরলস প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে নিবরাস মাদরাসা। তারপর পর্যায়ক্রমে পৃথক গার্লস সেকশন চালু করা এবং বিভিন্ন শ্রেণিতে সেকশন সংযোজন করা। ১০ম শ্রেণিতে উন্নীত করে ৫ম, ৮ম ও দাখিল পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন, মোহাম্মদপুর ও দক্ষিণ বনশ্রীতে আরো ২টি ক্যাম্পাস চালু করা এবং আলাদাভাবে তাহফিযুল কুরআন ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা ছিল বিগত বছরগুলোর বড় উদ্যোগ।

 

মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

২০০৫ সালে  আলোচনা হয় নিবরাস ফউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রতিষ্ঠানটি হবে আধুনিক মানসম্পন্ন। নৈতিকতাতো থাকতেই হবে। প্রস্তাব হয় মালয়েশিয়ার আদলে একটি প্রতিষ্ঠান করার। বিস্তারিত আলোচনা শেষে ২০০৭ সাল থেকেই এর কার্যক্রম আরম্ভ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। নাম দেয়া হয় নিবরাস ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসা

৫ আগষ্ট ২০০৬ তারিখ নিবরাস ফউন্ডেশনেরএক্সিকিউটিভ কমিটির ১২ তম সভায় প্রস্তাব হয় যে, নিবরাস ফাউন্ডেশনের জন্য একজন মুরুব্বী থাকা প্রয়োজন। যিনি বিভিন্ন প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে নিবরাসকে পরামর্শ ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে পারবেন। অনেকের নাম প্রস্তাবনায় আসে। সর্বশেষ সকলের উস্তায অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন এর নিকট পরামর্শ চাইলে তিনি জনাব মোহাম্মদ আলী চৌধরীর নাম প্রস্তাব করেন। আমরা সকলে একমত হয়ে এক্সিকিউটিভ কমিটির অধিকাংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের প্রস্তাবনা নিয়ে আমরা জনাব মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর অফিসে যাই। তাকে নিবরাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের পদ প্রস্তাব করলে তিনি বলেন, ভাইজান যদি এ প্রতিষ্ঠানের সাথে থাকে তবেই আমি রাজি। তখন আমরা ২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখের সভায় অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীনকে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জনাব মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করি।

২০০৭ সালের টার্গেট নিয়ে ২০০৬ এর শেষ দিকে বনশ্রীতে নিবরাস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুরু হয় নিবরাস ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার কার্যক্রম। মাদরাসাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় আরো অনেক দিক ও বিভাগের কর্ম তৎপরতা। বিভিন্ন রকম সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চলছে নিবরাস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। এর সকল কার্যক্রম আরো দ্রুত গতিতে প্রস্ফুটিত হোক- মহান রবের দরবারে সেই প্রার্থনা।